Home Top Ad

Responsive Ads Here

গর্ভবতী হওয়ার আগে যা করতে হবে!

Share:

নারীজীবনের পূর্ণতা আসে সন্তান লাভের মধ্য দিয়ে। তাই প্রত্যেক দম্পতিই চান সুস্থ ও সবল সন্তান। তবে সংসারে নতুন অতিথি আসার আগে অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে। যেমনÑ

মানসিক প্রস্তুতি : প্রথমেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই সন্তান চান কিনা। সন্তানের দেখাশোনার জন্য লোক এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে কিনা। ক্যারিয়ারের গঠন অবস্থায় সন্তান নিলে সামলানো সম্ভব কিনা। দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া আছে কিনা। বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিনা। উত্তর হ্যাঁ-বাচক হলে বুঝতে হবে মানসিকভাবে আপনি প্রস্তুত। না-বাচক উত্তর পেলে গর্ভধারণের চেষ্টা করার আগে আবারও ভালোমতো ভেবে নিন।

আর্থিক প্রস্তুতি : নতুন অতিথির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে আর্থিক প্রস্তুতি আগে থেকেই নিতে হবে। কেননা সন্তান লালন-পালন এ যুগে খুব ব্যয়সাপেক্ষ। তাই গর্ভধারণের আগেই ফিক্সড ডিপোজিট অথবা ইন্স্যুরেন্স করিয়ে নিতে পারেন। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমানো উচিত গর্ভধারণকালে। কারণ গর্ভাবস্থা, সন্তান প্রসব ও জন্মদান পরবর্তী অবস্থায় অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

শারীরিক প্রস্তুতি : মানসিক ও আর্থিক প্রস্তুতির পাশাপাশি শারীরিক প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি শারীরিক সুস্থতা আপনার না থাকে, তা হলে সন্তান ধারণের সব চেষ্টাই বৃথা যাবে। এ জন্য মেডিক্যাল চেকআপ করে জেনে নিতে পারেন, আপনার শরীর প্রস্তুত কিনা। এ জন্য প্রি-কন্সেপসন, প্রি-প্রেগনেন্সি চেক আপ বা গর্ভধারণ করার আগের চেকআপটা করে নিতে হবে।

যা যা চেকআপ করাবেন : যদি আগে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন, তা হলে আপনার চিকিৎসককে বলুন, কবে নাগাদ তা বন্ধ করবেন। সাধারণত গর্ভধারণ করার চেষ্টা করার কয়েক মাস আগে থেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বন্ধ করতে বলেন ডাক্তাররা। আপনার কিছু স্বাভাবিক মাসিক হওয়া দরকার গর্ভধারণের আগে। এতে করে গর্ভধারণ পরবর্তী সন্তান প্রসবের সময় নির্ধারণ করতে সুবিধা হয়। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন। আপনার কোনো রোগ থাকলে তা সারিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনকি আপনার স্বামীর কোনো অসুখ থাকলেও তার চিকিৎসা করাতে হবে। এরপর আপনার শারীরিক কিছু পরীক্ষা, যেমনÑ ওজন, রক্তচাপ ও আপনার নিতম্ব স্বাস্থ্যবান কিনা, তা পরীক্ষা করবেন। কেননা খুব ছোট ও চাপা নিতম্বে সন্তান জন্মদানকালে জটিলতা দেখা দেয়। তাই আগে থেকেই পরীক্ষা করা থাকলে প্রসবকালে আপনার ডাক্তার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। আপনি সন্তান ধারণ করতে পারবেন কিনা, অর্থাৎ বন্ধ্যা কিনা, তা পরীক্ষা করবেন। অনেক কারণে একটি দম্পতি বন্ধ্যা হতে পারে। নারী-পুরুষÑ উভয়ই এ জন্য দায়ী হতে পারে। যথাযথ পরীক্ষায় সমস্যা ধরা পড়লে যার সমস্যা, তার চিকিৎসা করাতে হবে। এ ছাড়াও আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে, যা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি বলে দেবেন।

যা জেনে রাখা প্রয়োজন : আপনার যদি ২৮ দিন অন্তর নিয়মিত মাসিক হয়, তা হলে মাসিক হওয়ার ১০তম দিন থেকে ১৮তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করবেন। এ সময় গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাদের অনিয়মিত মাসিক হয়, তারা তাদের সবচেয়ে কম সময় যে মাসিক হয়, সেই সময়ের সঙ্গে ১৮ বিয়োগ করে ও সবচেয়ে বেশি সময়ে যে মাসিক হয়, তার সঙ্গে ১০ বিয়োগ করে তার ওভুলেশন তারিখ গণনা করা যায়। যেমনÑ কারো যদি ২৬ থেকে ৩১ দিন অন্তর অন্তর মাসিক হয়, তা হলে ২৬-১৮=৮ এবং ৩১-১০=২১ অর্থাৎ তার মাসিক হওয়ার ৮তম দিন থেকে ২১তম দিনে গর্ভধারণের চেষ্টা করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

প্রেগন্যান্ট হওয়ার উপসর্গ : সাধারণত মাসিক না হওয়া, স্তন বড় হয়ে যাওয়া, সকালে বমি বমি ভাবÑ এগুলোই গর্ভবতী হওয়ার উপসর্গ। তবু নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো যায়।

No comments